ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ৯:৪৭:৩৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই প্রিয়াঙ্কার বাজিমাত বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস

ঘূর্ণিঝড় হামুন: কক্সবাজারে বিধ্বস্ত ৩৮ হাজার ঘরবাড়ি 

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:৩৮ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০২৩ বৃহস্পতিবার

ঘূর্ণিঝড় হামুন: কক্সবাজারে বিধ্বস্ত ৩৮ হাজার ঘরবাড়ি 

ঘূর্ণিঝড় হামুন: কক্সবাজারে বিধ্বস্ত ৩৮ হাজার ঘরবাড়ি 

ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে কক্সবাজার জেলায় ৩৮ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর তান্ডবে বিধ্বস্ত জেলার সাধারন মানুষের জীবন। ৯টি উপজেলার ৭০টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় অন্তত ৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব চেয়ে বেশি তান্ডব হয়েছে বিদ্যুৎ লাইনের উপর। ছিন্ন-ভিন্ন বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার কারণে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত কক্সবাজার পৌরসভাসহ জেলার অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে আজ সন্ধ্যা নাগাদ পুরো জেলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু সম্ভব হবে। 
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, সর্বশেষ তালিকায় কক্সবাজার জেলায় ৫ হাজার ১০৫টি কাঁচাঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩২ হাজার ৭৪৯টি ঘর। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন ৩৩ কে.ভি লাইনের ১৭৪টি, ১১ কে.ভি লাইনের ১৮০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। ২৩টি ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে। ৪৯৬টি স্পটে তার ছিড়ে গেছে। ১৮৩৮টি মিটার নষ্ট হয়েছে। ৮শ’টি স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। পিডিবি ও বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন কক্সবাজার পৌরসভা, কক্সবাজার সদর, চকরিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলার অনেক এলাকা এখনও বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় রয়েছে। ফলে উক্ত উপজেলাসমূহের সাথে মোবাইল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। 
জেলা প্রশাসক জানান, চকরিয়া উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত ১টি ব্রিজ সম্পূর্ণ বেঁকে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি জানান জেলায় হাজার হাজার গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে আজ সকাল থেকে জেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। কিন্তু ফোন কল ইনকামিং, আউটগোয়িং এর ক্ষেত্রে জটিলতা পুরো কাঠেনি। একই অবস্থা ইন্টারনেটের ক্ষেত্রেও। মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে মোবাইল ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের গণি বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে উপড়ে গেছে অসংখ্য বৈদ্যুতিক খুঁটি। তার ছিঁড়ে রাস্তা-ঘাট ও বসতিতে পড়ে রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা দিন রাত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বেশীর ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া সম্ভব হয়েছে। 
ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে কক্সবাজার পৌরসভায় অধিক ক্ষতিগ্রস্ত বিবেচনায় ১৫০ পরিবারকে এক বান্ডেল করে টিন ও নগদ এক হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে। গতকাল বিকেল ৫টার দিকে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত মাঠে এসব টিন ও টাকা বিতরণ করা হয়।
টিন ও নগদ অর্থ বিতরণকালে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ, সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া, পৌরসভার প্যানেল মেয়র সালাউদ্দিন সেতু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।